২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু এফসির একাডেমিতে সময় কাটানোর পরে গত দুটি মরসুম অজয় বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদের জার্সি গায়ে আইএসএল খেলেছেন। ২০১৭ সালে অজয় বেঙ্গালুরু এফসির “অনুর্দ্ধ ১৮ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের” শিরোপাও পেয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেও তার ডিফেন্সিভ পারদর্শিতার জন্যে দরকারে একটি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বা “স্ক্রিনিং” রোলেও খেলতে পারেন। ইস্টবেঙ্গলের গত ৩ টি ম্যাচ দেখলে বুঝবেন ফাউলারের পছন্দের ৫-৩-২ বা ৩-৫-২ ফর্মেশনে এই ডিফেন্সিভ স্ক্রিনিংয়ের অনেক গুরুত্ব আছে, তারই সাথে অজয় শিবিরে যোগ দিলে মাত্তি স্টেইনম্যানের ওপরেও চাপ কমবে বলে আশা করা যায়।
২১ বয়সী অজয় এর আগে বেঙ্গালুরু বি টিমের হয়ে ১১ টি ম্যাচ খেলেছেন, আর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হলেও তার ঝুলিতে ১ টি গোল আছে। বেঙ্গালুরুর সিনিয়র দলের হয়ে ২ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, তবে প্রথমটায় চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৯০ মিনিটের মাথায় খাবরার পরিবর্ত হিসাবে মাঠে এসেছিলেন। ২০১৯-২০ মরসুমের মাঝামাঝি অজয়কে হায়দ্রাবাদে লোনে পাঠানো হয় যেখানে বাকি মরসুমে তিনি দুবার মাঠে নেমেছিলেন।
অজয়ের প্রোফাইল ফাউলারের যথেষ্ট পছন্দ হয়েছে, আর কম বয়সী বলে ফিটনেস লেভেল নিয়েও সংশয় কম। মিলন সিংয়ের খারাপ ফর্মে থাকার কারণে হয়তো শুরুর দিকেই কিছু সুযোগ পেতে পারেন অজয়, আর মনে রাখার বিষয় এটাই যে এখন পর্যন্ত জানুয়ারিতে সই করা সব খেলোয়াড়ই (ব্রাইট, রাজু এবং অঙ্কিত) কিন্তু নিজেদের সেরাটা মেলে ধরেছেন। আশা করা যায় আমাদের পরিবারের নতুন সদস্য অজয়ও এর অন্যথা করবেনা।