অনেকদিন ধরেই চতুর্থ গোলকিপারের খোঁজে ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। টিমে দেবজিৎ মজুমদার, শঙ্কর রায় এবং মিরশাদ মিচুর জায়গা পাকা হলেও চতুর্থ গোলকিপার হিসেবে ২২ বছর বয়সী গোলকিপার রফিক আলী সর্দারের বদলে অন্য কোনও গোলকিপারকে দলে চাইছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল থিঙ্কট্যাঙ্ক।
সেই মতো এই মুহূর্তে বাংলার অন্যতম সেরা গোলকিপার শুভম সেনকে সই করালো এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডাকনাম তাতাই। গত চার বছর ধরে কাস্টমসের হয়ে খেললেও এখনও চাকরি পাকা হয়নি শুভমের। এর মধ্যে বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলা হয়ে গেছে। এই মরশুমে ইউনাইটেড স্পোর্টসের হয়ে আইএফএ শিল্ডেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন।
সেখান থেকেই নজরে পড়ে যান ইউনাইটেড স্পোর্টসের নবাব ভট্টাচার্যের। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুভমের জন্য জোরালো সওয়াল করেন তিনি। নজর এড়ায়নি এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্পটারদের। প্রতিশ্রুতিবান এই গোলরক্ষককে তাঁরা সরাসরি তুলে নিয়ে আসলেন ভারতীয় ফুটবলের প্রধান মঞ্চে।
ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে প্রতিদিনই দেবজিৎ মজুমদার যে রকম পারফর্ম করছেন, তাতে শুভমের পক্ষে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ হতে চলেছে। কিন্তু অত্যাধুনিক ট্রেনিং সরঞ্জাম, বিখ্যাত কোচিং স্টাফ এবং সিনিয়র প্লেয়ারদের সান্নিধ্যে থেকে শুভম যে আরও অনেক ধারালো হবেন, তা বলাই বাহুল্য। প্র্যাক্টিসে ভালো পারফর্ম করে রবি ফাউলারের চোখে পড়ে গেলে এবারের আইএসএলেই যে গ্লাভস হাতে ইস্টবেঙ্গলের তেকাঠির নিচে দাঁড়াবেন না, তাই বা কে বলতে পারে।
আপাতত আরও এক বাঙালি ফুটবলার আইএসএলের মূলমঞ্চে উঠে আসলেন, বাংলার ফুটবলের জন্য সেটা খুবই ইতিবাচক খবর। বেস্ট অফ লাক শুভম।