ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মধ্যে চুক্তিবিতর্ক শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। দু পক্ষই যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে একে অপরকে বিঁধছেন। এসবের জেরে বন্ধ হয়ে রয়েছে এই মরশুমের দলগঠনও।
কয়েকদিন ধরেই জোর জল্পনা, দুপক্ষই নিজেদের মতো করে চাইছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপে এই সমস্যার একটা সমাধান খুঁজে পেতে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের সূত্রে খবর, শত ব্যস্ততার মধ্যেও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছে এই কাজিয়ার কথা। শোনা যাচ্ছে, বরাবর কলকাতার ক্লাবগুলোর পাশে থাকা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও এই সমস্যায় যারপরনাই অসন্তুষ্ট এবং বিরক্ত। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের এই অযথা ঢিলেমি এবং বিলম্ব মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না তিনি।
সমর্থকদের গরিষ্ঠ অংশও ইস্টবেঙ্গলের সাবেকি কর্তাদের প্রতিবছরের এই নাটকে একইভাবে বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ। সাবেক কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যাচ্ছে। ফেসবুক, ট্যুইটারে মুহুর্মুহু পোস্ট হচ্ছে #NituOut, #RajaEbarCharoGodi, #SignAndResign জাতীয় হ্যাশট্যাগগুলো ব্যবহার করে। সমর্থকদের সেই চাপ টের পেয়ে নাজেহাল কর্তারাও, কিন্তু নিজেদের জেদে অনড় তাঁরা। কখনও মিডিয়ার একাংশের সাহায্যে, কখনও কিছু ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন ফুটবলারদের দিয়ে চুক্তির বিরোধিতা করিয়ে সাধারণ সমর্থকদের মনে প্রভাব ফেলতে চাইলেও এবারে যে এত সহজে চিঁড়ে ভিজবে না, তা ভালোই বুঝতে পারছেন পর পর দুবার ইনভেস্টরদের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক ধরে রাখতে চরম ব্যর্থ কর্মকর্তারা। এর জেরে সারা দেশে তো বটেই, এমনকি বিদেশেও ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়ছে এক নেতিবাচক মনোভাব, যা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য চূড়ান্ত ক্ষতিকারক হতে পারে বলেই গরিষ্ঠসংখ্যক সমর্থকের ধারণা।
এখন যত তাড়াতাড়ি সমর্থকদের আবেগের কথা ভাবতে শুরু করেন তাঁরা, ততই সবার জন্য মঙ্গল।