করোনা অতিমারীর পর ভারতে ফুটবল মরশুম চলছে জোরকদমে। কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার পর নতুন ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট গোষ্ঠীর আর্থিক বিনিয়োগে আইএসএলে খেলছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গলও। এরই মাঝে প্রথামতো হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রশাসনিক নির্বাচন।
আগামী তিন বছরের জন্য প্রত্যাশামতই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মনোনীত সদস্যরা। গঠিত হলো নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটি।
সাধারণ সচিব হিসেবে আরও তিন বছরের জন্য রয়ে গেলেন কল্যাণ মজুমদার। গতবারের কমিটি থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত ডঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত। সহকারী সাধারণ হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন পেশায় স্বর্ণব্যবসায়ী রূপক সাহা।
ফুটবল সচিব হিসেবে নতুন মুখ সৈকত গাঙ্গুলী। তিনি আসলেন রজত গুহ-র জায়গায়। তবে রজত গুহ কার্যকরী কমিটিতে না থাকলেও জায়গা পেয়েছেন তাঁর ভাই রাজীব গুহ।
উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এলো ইস্টবেঙ্গলের মাঠ সচিব পদেও। দীর্ঘদিন এই দায়িত্ব পালন করার পর এই টার্মে অব্যাহতি পেলেন দীপঙ্কর চক্রবর্তী ওরফে বাবু চক্রবর্তী। তাঁর জায়গায় এলেন সরোজ ভট্টাচার্য। তবে কোনও পদে না থাকলেও এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য হিসেবে থেকে গেলেন বাবু চক্রবর্তী।
এক্সিকিউটিভ কমিটিতে রয়েছে আরও চমক। নতুন মুখ হিসেবে কমিটিতে অভিষেক করলেন গৌতম দাস, যিনি সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে তারক দাস নামেই বেশী পরিচিত।
এছাড়াও প্রত্যাশামতোই কার্যকরী কমিটিতে থাকলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘসময়ের কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নীতু সরকার, সন্তোষ ভট্টাচার্য ওরফে বাবু ভট্টাচার্য, বীরেন্দ্র কুমার সাহা এবং প্রাক্তন গোলকিপার ভাস্কর গাঙ্গুলীর স্ত্রী মলি গাঙ্গুলী।
EBRP-র তরফ থেকে নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আশা করা যায়, নবনিযুক্ত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্যরা কালবিলম্ব না করে ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট গোষ্ঠীর সাথে ফাইনাল এগ্রিমেন্ট নিয়ে যাবতীয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করে আপামর সমর্থককূলকে নিশ্চয়তা দেবেন, এবং যাতে নতুন ইনভেস্টররা আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেই পথ প্রশস্ত করবেন।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কারা কারা নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেন: