ইঙ্গিত মিলেছিলো বেশ কয়েকদিন আগেই, শেষ পর্যন্ত সেই খবরেই সিলমোহর পড়লো। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বারংবার তাঁর বর্তমান ক্লাব ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনার পরেও শেষ পর্যন্ত ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন জনি একোস্টা।
লকডাউনের আগে গত মার্চ মাসে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছিলেন এই কোস্টারিকান বিশ্বকাপার। এরপর দীর্ঘসময় করোনা ভাইরাসের জন্য সারাবিশ্ব জুড়েই বন্ধ ছিল ফুটবল। তারপর উনি সই করেন কোস্টারিকারই দেপোর্তিভো সাপ্রিসায়, যারা কোস্টারিকার সর্বোচ্চ লীগে খেলে। এমনকি, এই মুহূর্তেও তারা প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগের গ্রুপ বি-তে শীর্ষস্থানেই আছে।
এমতাবস্থায় একোস্টার হঠাৎ ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত কিছুটা অবাক করার মতোই। তবে একোস্টার সঙ্গে দেপোর্তিভো সাপ্রিসার চুক্তি এই শর্তেই হয়েছিল যে, একটা সেমেস্টারের পরে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট জনির পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন, চুক্তি পুনর্নবীকরণ হবে কিনা। শেষ পর্যন্ত দেপোর্তিভো সাপ্রিসার ক্লাব ম্যানেজমেন্ট জনির বদলে তরুণ ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়াকে প্রাধান্য দিলেন।
৩৬ বছর বয়সী একোস্টা গত কয়েক মাস ধরেই চোটে ভুগছিলেন। দেপোর্তিভো সাপ্রিসার হয়ে প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ৮৬০ মিনিট খেলেছিলেন, যা কিনা মরসুমে পুরো টিমের খেলার ৫০ শতাংশেরও কম। এমনকি চোটের জন্য লীগের চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও খেলতে পারেননি কোস্টারিকার হয়ে ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলা এই তারকা ডিফেন্ডার।
যদিও এখনই খেলা ছাড়ছেন না জনি। পাকাপাকিভাবে বুটজোড়া তুলে রাখার আগে আরো কিছুদিন চুটিয়ে ফুটবল উপভোগ করতে চান ইস্টবেঙ্গল জনতার নয়নের মণি। শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোন ক্লাবে সই করেন জনি একোস্টা, এখন সেটাই দেখার।