ঘরের মাঠে ইউরোর প্রথম ম্যাচে জয় পেলো ইংল্যান্ড, সৌজন্যে রাহিম স্টার্লিংয়ের ঠান্ডা মাথার ফিনিশ।
খেলার শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের পাল্লা ভারী হলেও ক্রোয়েশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছিল, তাই অনেকের মতেই ক্রোয়েশিয়ার বাধা টপকানো অতো সহজ হত না, তার উপরে শেষ পাঁচ ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কখনোই হারেনি ক্রোয়েশিয়া (Croatia national football team)। এদিকে আবার ওয়েম্বলীতে শেষ ১৬ টি ম্যাচের মধ্যে ১৫ টি তেই জয় পেয়েছিলো ইংল্যান্ড, তাই রেকর্ড বুকে আজ কোনো একটি রেকর্ড ভাঙতেই হতো।
প্রথমার্ধ থেকেই খেলায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করতে থাকে ইংল্যান্ড (England national football team)। খেলাটা যেহেতু ওয়েম্বলী স্টেডিয়ামে (Wembley Stadium) খেলা হয়েছে, তাই ইংল্যান্ডের আধিপত্যটা স্বাভাবিক। যদিও তাদের আক্রমণের ঝড় খেলার ২০ মিনিটের মাথায় থেমে যায়। ভরদুপুরের খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছিল দুই দলের খেলোয়াররাই এত গরমে খেলতে সেভাবে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেননা। ক্রোয়েশিয়া শুরু থেকে নিজেদের রক্ষণ জমাট করার দিকে মন দেয়, অপর দিকে দুই উইং দিয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ তোলাই প্রধান লক্ষ্য ছিল গ্যারেথ সাউথগেটের (Gareth Southgate) ইংল্যান্ডের।
প্রথমার্ধে গোল করার সবথেকে কাছে আসেন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলে যাওয়া ইংল্যান্ডের উইঙ্গার ফিল ফোডেন (Phil Foden)। ম্যাচের ৬ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের (Raheem Sterling) থেকে পাওয়া বলে পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া তাঁর শট প্রতিহত হয় ফার পোস্টে। এছাড়াও গোল করার সুযোগ পান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন (Harry Kane), যা তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। ক্রোয়েশিয়ার স্টার প্লেয়ার ইভান পেরিসিচও (Ivan Perišić) ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দিতে পারতেন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে বক্সের সামান্য বাইরে পাওয়া ফ্রিকিক ওয়ালে মারেন কইরেন ত্রিপিয়ার (Kieran Trippier)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করে ক্রোয়েশিয়া, যদিও তাদের কোনো আক্রমণই সেভাবে দানা বাঁধতে পারেনি। কিন্তু এবার প্রথমার্ধের ইংল্যান্ডের মতো ক্রোয়েশিয়ার আধিপত্য ধীরে ধীরে কমতে থাকে, আর ঠিক সেই সময়ে, খেলার ৫৭ মিনিটের মাথায় ফিলিপসের (Kalvin Phillips) বাড়ানো অনবদ্য থ্রু বল থেকে গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটির (Manchester City F.C.) উইঙ্গার রাহিম স্টার্লিং (১-০)।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় ইংল্যান্ড, তবে এবার ফ্রিকিকটি নিতে আসেন ম্যাসন মাউন্ট (Mason Mount)। তার নেওয়া ফ্রিকিকটি আরেকটু হলেই গোলে ঢুকতে পারতো, যদিও সেটা ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। এর পর সেরকম গোল করার সুযোগ পায়নি উভয় দলই, শুধু মাত্র একবার মাউন্টের ক্রসে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পান কেন, তবে তার শটটা ঠিকমতো টাইম করতে পারেননি তিনি আর ফলো থ্রুতে পোস্টে ধাক্কা খান।
এই প্রথমবার কোনো ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩ পয়েন্ট ঘরে তুললো ইংল্যান্ড, এবং এই জয়ের জন্য শেষ ১৬-এ যাওয়ার রাস্তায় এক পা বাড়ালো “থ্রি লায়ন্স”-রা (Three Lions)।