এই ঘটনা নতুন নয়। কখনো মর্গান, কখনো ফালোপা, কখনো রাইডার, আবার কখনো আলেজান্দ্রো প্রাক্তনদের লাগাম ছাড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কিন্তু প্রত্যেকেই চুপ থেকেছেন। তবে বছরের পর বছর একই চিত্রনাট্য চলতে চলতে অবশেষে প্রাক্তনদের একহাত নিলেন এস সি ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ লিভারপুল লেজেন্ড রবি ফাউলার।
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে লাল-হলুদ যথেষ্ট চাপে। ম্যাচ হারার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছিলো সাবেক কর্তাদের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু প্রাক্তন খেলোয়াড়ের দল এবং কোচ নিয়ে সমালোচনা। জামশেদপুর ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্সে তারই পাল্টা দিলেন আজ ফাউলার।
প্রাক্তনদের সমালোচনা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই, প্রাক্তন খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে রবি ফাউলার বলেন:
“এটা ঠিক নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, সব কিছুই ক্লাবের জন্যে। প্রাক্তন খেলোয়াড়রা বর্তমান খেলোয়াড়দের একহাত নিচ্ছেন। আশা করি, এটি কোনওভাবেই সাবেক কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে করা কোনওরকম রাজনৈতিক বক্তব্য নয়।”
তিনি আরও বলেন “প্রাক্তনরা আমাকে নিয়ে কি বললেন তাতে আমি বিচলিত নই কিন্তু আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে কটুক্তি করলে সেটা আমি মেনে নেব না। প্রত্যেকের উচিত দলের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানানো এবং পজিটিভ এনার্জি ছড়িয়ে দেওয়া।”
এর পাল্টা প্রাক্তনরা কিছু বলেন কিনা সেটা সময় বলবে। কিন্তু সমালোচনা করবার আগে প্রাক্তনদের মাথায় রাখা উচিত ছিলো ঠিক কোন পরিস্থিতিতে দল গঠন হয়েছে। নতুন ম্যানেজমেন্ট সবকিছু দেখে শুনে দল গঠন করবার সময়টাই পাননি। বরং সাবেক কর্তারা যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন শক্তিশালী ভারতীয় ব্রিগেড তৈরি করার, আর সে কাজে তারা কতটা সফল সেটা সবাই দেখতেই পাচ্ছে।
এবার আসা যাক কিছু প্রাক্তনের কথায়। যারা বছরের পর বছর সমালোচনা করে চলেছেন, তারা একবারের জন্যেও মনে করেননি কোচিং লাইসেন্স গ্রহণ করার কথা। কিছু প্রাক্তন আছেন যারা অবশ্যই কোচ হিসেবে একসময় সফল এবং ব্যর্থ উভয়ই হয়েছেন, কিন্তু বর্তমানে কোচিং করাবার ডাক পান না। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অসফল হওয়ার পরে অজুহাত দিয়ে থাকেন তাদেরকে ইচ্ছাকৃত উত্তীর্ণ হতে দেওয়া হয়নি। সে যাই হোক, প্রাক্তনরা প্রত্যেকেই সম্মানীয় কিন্তু প্রতিবছর এধরনের মন্তব্যের কারণে এখন তারা যে একটি বিরাট সংখ্যক সমর্থকের কাছে বিরক্তি ও উদ্রেকের কারনে রূপান্তরিত হয়েছেন, তা বলাবাহুল্য।