অনেকদিন ধরেই চলছিল জল্পনা। এবার সেই জল্পনাকে সত্যি করেই আইএসএলের নিয়ামক সংস্থা এফএসডিএল (FSDL) জানিয়ে দিলো, ২০২১-২২ মরশুম থেকেই স্বদেশী খেলোয়াড়দের সংখ্যা বাড়তে চলেছে হিরো আইএসএলে (Hero Indian Super League)।
ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের (Football Sports Development Limited) নতুন কোচ ও প্লেয়ার সিলেকশন গাইডলাইনস অনুযায়ী এখন আইএসএলের ক্লাবগুলিকে ন্যূনতম ৭ জন ভারতীয় খেলোয়াড় ম্যাচের যে কোনও সময় মাঠে রাখতে হবে। যার অর্থ, প্রত্যেকটি আইএসএল ক্লাব সর্বোচ্চ ৪ জন বিদেশী খেলোয়াড়কে প্রথম একাদশে রাখতে পারবে।
২০১৪-তে যখন আইএসএল শুরু হয়, তখন দলগুলি প্রথম একাদশে ৬ জন বিদেশী এবং ৫ জন স্বদেশী খেলোয়াড় মাঠে রাখতে পারতো। তারপর সময়ের সাথে সাথে এফএসডিএলের লক্ষ্য ছিল প্রথম একাদশে ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যাবৃদ্ধি। ২০১৭-১৮ মরশুম থেকে বর্তমান নিয়ম চালু হয় যেখানে একটি দল সর্বোচ্চ ৫ জন বিদেশী একসঙ্গে মাঠে রাখতে পারতো। এবারে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যেই বিদেশী কমানোর এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই জানালো এফএসডিএল কর্তৃপক্ষ।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (Asian Football Confederation) ক্লাব ভিত্তিক প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী বিদেশীর সংখ্যা ৪-এ বাঁধতেই হতো এফএসডিএলকে। ফলে এই মরশুম থেকেই সেই নিয়ম চালু করলো তারা।
এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে আইএসএলের ক্লাবগুলি সর্বোচ্চ ৬ জন বিদেশী সই করতে পারবে, যার মধ্যে একজন এশিয়ান কোটার বিদেশী হতে হবে বলে ঘোষণা এফএসডিএলের। এছাড়াও ক্লাবগুলির কাছে সুযোগ রইলো মার্কি (Marquee Footballer) হিসাবে একজন বিদেশী ফুটবলার সই করানোর।
তবে এফএসডিএল এই ঘোষণায় ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কতটা সুবিধা হলো, তা তর্কের বিষয়। শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। এমনকি দুপক্ষের মধ্যে বিচ্ছেদের সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামীকাল, অর্থাৎ ৯ই জুন থেকে চালু হচ্ছে এই মরশুমের ট্রান্সফার উইন্ডো (Summer Transfer Window)। কিন্তু ইনভেস্টরের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ায় দলগঠন থমকে রয়েছে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জনি একোস্টার বেতন বাকির জন্য ইস্টবেঙ্গলের উপর সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফার তরফ থেকে আরোপিত হয়েছে ট্রান্সফার ব্যান। ফলে যতদিন না সেই টাকা মেটানো হচ্ছে, এই ব্যান উঠবে না। ট্রান্সফার ব্যান না উঠলে এমনিতেও অন্য কোনও ক্লাব থেকে খেলোয়াড় সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল।
এমনিতেই প্রথমসারির ভারতীয় ফুটবলাররা প্রায় সবাই অন্যান্য ক্লাবগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন। বাকি ফুটবলাররাও আগামীকাল থেকে বিভিন্ন ক্লাবে সইসাবুদ করা শুরু করে দেবেন। ফলে এই মরশুমে টিমে স্বদেশী রিক্রুট যে আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের জন্য, তা বলাই বাহুল্য।