শেষমেষ ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান ঘটলো, কারণ কাল ভারতীয় সময়ে সন্ধে সোয়া সাতটায় আবার সবুজ ঘাসে পা রাখতে চলেছে সবার প্রিয় “ব্লু টাইগার্স”। দীর্ঘ ১৬ মাস পর আবার কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে চলেছে ভারত, তবে এবার অনেক চেনা মুখদেরই দেখা যাবেনা। মূলত তারুণ্যকেই হাতিয়ার করে দল সজিয়েছেন হেডকোচ ইগোর স্টিমাচ।তাই খাতায়-কলমে তারা কি অবস্থায় আছে একবার দেখে নেওয়া যাক।
অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দল থেকে ছিটকে গেছেন, তাই আক্রমণের দায়িত্ব মূলত মানভীর সিং ও ঈশান পাণ্ডিতাদের সামলাতে হবে। সুনীলের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে সন্দেশ ঝিঙান অথবা ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে। দুজনেরই আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে তাদের কাছে কাজটা মোটেও খুব একটা কঠিন হবে বলে মনে হয়না। তবে আগামীকাল ওমানের বিরুদ্ধে যে নিজেদের নিংড়ে দিতে হবে সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দুবারই ওমানের বিরুদ্ধে হারতে হয় ভারতকে, প্রথমে ১-২ ও পরে ০-১ ব্যবধানে।
ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ৮১ নম্বরে থাকা ওমানের বিরুদ্ধে লড়াই কোনো ভাবেই সোজা নয়। বাছাই পর্বে আয়োজক দেশ কাতারের থেকে মাত্র ৪ পয়েন্ট কম পেয়ে ২ নম্বরে আছে তারা। ২০০৪-এ মিলান মাকালা দায়িত্ব নেওয়ার পরে ওমানকে গাল্ফ অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী দল বানিয়ে দিয়েছেন। ২০১৮ এশিয়া কাপেও শেষ ১৬ অব্দি পৌছেছিল তারা, তবে বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইরান তাদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়।
এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লীগে চোখ ধাধানো খেলা দেখিয়ে অনেক নবাগত এবং তরুণরা জায়গা করে নিয়েছে দলে। মূলত আকাশ মিশ্র, ঈশান পাণ্ডিতা, বিপিন সিংয়ের মতো খেলোয়াড়দের খেলার প্রশংসা চারীদিকে হয়েছে। কিন্তু ক্লাব এবং দেশের হয়ে খেলায় বিস্তর তফাত, সেটা হয়তো টিম মানেজমেন্ট ভাল করে বুঝিয়ে দেবে খেলোয়াড়দের। ওপর দিকে চোটের জন্যে ওমানও কয়েকটা সিনিয়র খেলোয়াড়দের সার্ভিস পাবেন, তবে তাদের মাঝমাঠের স্তম্ভ আহমেদ কানোর ওপর বাড়তি নজর দিতে হবে ভারতকে।
হেড-টু-হেড পরিসংখান
মোট সাক্ষাত: ৯
ভারতের জয়: ০
ওমানের জয়: ৭
ড্র: ২
ভারতের গোল: ৫
ওমানের গোল: ২২