একজন কোচের মাখন-রুটি জোগাড় হয় খেলার 45 মিনিটের বিরতিতে।এই কথাটা জানতাম। কিন্তু জানতাম না কিভাবে হয়।(জানার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলাম বোম্বে তে AIFF D কোচিং certificate করতে। সেই শেখার কিছু টা জানাতে চাই এই যা।)
*3 টি প্রধান মুহূর্ত (অনেকে 4 টে বলেন)*
ফুটবল খেলার 90 মিনিট কে যদি আপনি বুঝতে চান তাহলে সবার আগে বুঝতে হবে খেলাটাতে কোন দল কি করছে আর কেনই বা করছে। আচ্ছা ধরুন ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে খেলা হচ্ছে। ম্যাচের যেকোনো একটা সময়ে খেলাটাকে পজ করুন (ধরে নিলাম সেটা করা সম্ভব)। এবার আপনি কি দেখতে পারেন?
১. হয় ইস্টবেঙ্গল এর কোনো খেলোয়াড়ের কাছে বল
২. অথবা এটিকের কোনো খেলোয়াড়ের কাছে বল
৩. কারোর কাছেই বল নেই। কোনো একটা দল বল টা তাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে হারিয়েছে। এক্ষেত্রে লং পাস বা ক্রস হয়ে থাকলে ধরে নিচ্ছি সেটা তাদের উদ্দেশ্যে পৌঁছেছে।
এই উপরিউক্ত 3 তে বিষয়ই হলো ফুটবলের 3 টি প্রধান মুহূর্ত। এর বাইরে আর যে যে মুহূর্ত তৈরি হতে পারে-
১. খেলোয়াড়ের চোট
২. পেনাল্টি
সাধারনত এগুলোর উপর আগে থেকে কিছু ঠিক করে রাখা যায় না অথবা এগুলো গোটা প্রতিযোগিতাতেই এত কম হয় যে সেগুলোর উপর ভরসা করে থাকলে কোচের চলে না।
এবার আসি এগুলোর ভিতরে
১. বল যখন ইস্টবেঙ্গলের কাছে। এটাকে ফুটবলের ভাষায় বলে “With Ball Possesion”। মানে আপনি কি করছেন যখন আপনি বল পাচ্ছেন। ফুটবলের এটাকিং পার্ট। আপনার টিমের আক্রমণাত্মক ফর্মেশন, টেকনিক সব এতেই আসবে। প্লেয়ার টু প্লেয়ার কম্বিনেশন এক্ষেত্রে সাফল্যের চাবিকাঠি।
২. বল যখন এটিকের পায়ে অথবা ইস্টবেঙ্গলের হিসাবে দেখতে গেলে বল যখন ইস্ট বেঙ্গল এর পায়ে নেই। ফুটবলে এটাকে বলে “Without ball possession”। আপনার সমস্ত রক্ষণ পরিকল্পনা এটার সাথে যুক্ত। অফসাইড ট্র্যাপ, প্রেস এসময়ের ই গল্প। বিপক্ষের চাপের মুখে রক্ষণের আকার ধরে রাখাই এই মুহূর্তের কাজ।
৩. কারোর কাছে বল নেই, কেউ একজন বলের দখল হারিয়েছে।এই মুহূর্ত তাই ম্যাচের রং বদলে দেয়। এই মুহূর্তের উপরেই কোচের চাকরি নির্ভর করে।
তাই এটা পরের পার্ট এ।