ঘোষণা হয়ে গেলো টোকিও অলিম্পিকের ফুটবল বিভাগের গ্রুপবিন্যাস। মোট ৭ টি গ্রুপে ২৮ টি দলকে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ টি পুরুষ ফুটবল দল এবং ১২ টি মহিলা ফুটবল দল। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গ্রুপগুলোকে:
পুরুষ বিভাগ:
গ্রুপ এ: জাপান (আয়োজক), সাউথ আফ্রিকা, মেক্সিকো, ফ্রান্স।
গ্রুপ বি: নিউজিল্যান্ড, সাউথ কোরিয়া, হন্ডুরাস, রোমানিয়া।
গ্রুপ সি: মিশর, স্পেন, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া।
গ্রুপ ডি: ব্রাজিল, আইভরি কোস্ট, জার্মানি, সৌদি আরব।
২০১৬ রিও অলিম্পিক (Olympic Games Rio 2016) ফাইনালের বদলা নিতে মরিয়া থাকবে জার্মানি(Germany national football team), কারণ সেই রাতে পেনাল্টি শুট-আউটে নেইমারদের ব্রাজিলের (Brazil national football team) কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিলো তাদের। সঙ্গে আরেকটি যেই ম্যাচে সবার নজর থাকবে সেটা হলো গ্রুপ সি-তে আর্জেন্টিনা বনাম স্পেন ম্যাচ। মনে রাখতে হবে ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে একটি প্রীতি ম্যাচে মেসি-বিহীন আর্জেন্টিনাকে (Argentina national football team) ৬-১ গোলে পরাস্ত করেছিল স্পেন (Spain national football team)।
মহিলা বিভাগ:
গ্রুপ ই: জাপান (আয়োজক), কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন, চিলি।
গ্রুপ এফ: চীন, ব্রাজিল, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস।
গ্রুপ জি: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী মহিলা বিশ্বকাপের দুই আয়োজক দেশই (অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড) এক গ্রুপে পড়েছে, যার ফলে তাদের মধ্যে যেই ম্যাচটি খেলা হবে তার আলাদাই একটা গুরুত্ব থাকবে সেটা বলাই বাহুল্য। আবার সেই একই গ্রুপ জি-তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম সুইডেনের ম্যাচটিও আলাদা গুরুত্ব রাখে, কারণ সুইডেনের (Sweden women’s national football team) হাতেই ২০১৬ অলিম্পিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States women’s national soccer team) বিদায় হয়েছিলো।
পুরুষ এবং মহিলা উভয় বিভাগেই খেলার নিয়ম প্রায় একই। পুরুষদের বিভাগে ৪ টি গ্রুপের সেরা দুটো করে দল পরের পর্যায়ে উন্নীত হবে, যার পর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল, ফাইনাল এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণের জন্যে খেলা হবে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩ টি গ্রুপের সেরা দুটো করে দল এবং তৃতীয় স্থানে শেষ করা সেরা দুটো দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। তারপর পুরুষদের বিভাগের খেলার মতোই নিয়ম মেনে মহিলাদের খেলা হবে।