একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল। কখনও জনি অ্যাকোস্টা, কখনও হাইমে স্যান্টোস কোলাডো (Jaime Santos Colado), কার্লোস নোডার, আবার কখনও পিন্টু মাহাতো, রক্ষিত ডাগার, আভাস থাপা – একের পর এক ফুটবলার, কোচিং স্টাফরা টাকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে। দ্বারস্থ হয়েছেন ফিফার (FIFA)। কিছুদিন আগেই জনি অ্যাকোস্টার (Jhonny Acosta) ইস্যুতে ট্রান্সফার ব্যানের (Tranfer Ban) সম্মুখীন হতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
এবার নতুন ধাক্কা লাল-হলুদ শিবিরে। অ্যাকোস্টা, কোলাডোদের দেখানো পথেই এবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফিফার দরজায় কড়া নাড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইরানিয়ান ফুটবলার ওমিদ সিং (Omid Singh)। অর্থের পরিমানটাও নেহাৎ কম নয় – ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
গত বছর কোয়েস (Quess Corp Limited) বিদায় এবং শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) আগমনের আগে যে মাঝের কয়েকমাস আইএসএল খেলা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা, সেই সময়ই ২০২০-২১ মরশুমের জন্য নতুন বিদেশী হিসেবে ওমিদ সিং-এর নাম বাজারে এসেছিলো। যদিও সেই খবর দিনের আলো দেখেনি। কোনোদিনই ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে চাপাননি ওমিদ।
তবে দেখা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যে চুক্তিপত্রের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এই চুক্তিপত্রে শুধু ওমিদের সই রয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে সইয়ের জায়গাটি ফাঁকাই আছে।
বলাই বাহুল্য, এই চুক্তিবিতর্কের সূত্রপাত শ্রী সিমেন্টের ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে। ফলে ওমিদের দাবি মতো এই বকেয়া টাকা মেটানো বা ফিফায় চ্যালেঞ্জ জানানোর কোনও দায় এবারেও বর্তাবে না শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের উপর, বরং পুরোটাই এখন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কর্মসমিতির ঘাড়ে।
তবে, একের পর এক সমস্যায় মুখ পুড়ছে সাধারণ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরই। প্রতিদিনের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চান সব লাল-হলুদ সমর্থকই। কিন্তু এর শেষ কোথায়, ঈশ্বরই জানেন।