ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল ২রা আগস্টেই। শহরের এক নামী পাঁচতারা হোটেলে যখন প্রেস কনফারেন্স করে ইমামি গ্ৰুপ এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করা হয়, তখনই ইমামি গ্ৰুপের কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল জানিয়ে দেন যে, আইএসএলে শুধুমাত্র “ইস্টবেঙ্গল” নামেই খেলবে ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ, ইনভেস্টর হলেও, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নামের আগে পরে ইমামি গোষ্ঠীর নাম বসছে না।
বৃহস্পতিবার বহু প্রতীক্ষিত আইএসএল ২০২২-২৩ মরশুমের সূচি প্রকাশিত হতেই সেই ঘোষণায় সিলমোহর পড়লো। এফএসডিএল থেকে গতকাল যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, লাল হলুদ ব্রিগেডের নাম শুধুই “ইস্টবেঙ্গল”। অর্থাৎ, পড়শী ক্লাবের মতো অন্য কোনও ক্লাবের নামের পিছনে লেজুড় হয়ে নয়, প্রতিনিয়ত আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে নয়, বরং মাথা উঁচু করে, নিজের পরিচয় অক্ষুন্ন রেখে, মৌলিকতা বজায় রেখে “নিজের নামে”-ই আইএসএলে নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
২০২২-২৩ এর আইএসএল শুরু হতে আর মাত্র পাঁচ সপ্তাহ বাকি। আগামী ৭ই অক্টোবর টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে কোচিতে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই আইএসএলের প্রস্তুতি হিসেবে ডুরান্ড কাপের তিনটে ম্যাচ খেলে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। স্কোয়াড তৈরীও সম্পূর্ণ। সূত্রের খবর, আইএসএলের আগে বিদেশে প্রি-সিজন করতে যাওয়ার ভাবনাচিন্তাও করছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট।
তবে, করোনা অতিমারী কাটিয়ে দুবছর পরে যেহেতু আগের মতো হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতেই আইএসএল হতে চলেছে, ফলে কলকাতায় নিজেদের হোম ম্যাচগুলি খেলার আগে গোটা টিমকে একসাথে একই জায়গায় রাখার পক্ষপাতী ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। ইতিমধ্যেই কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা সরণীর ধারে এক বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে সব ফুটবলারদের থাকার ব্যবস্থা করেছে থিঙ্কট্যাঙ্ক। শোনা যাচ্ছে, আইএসএল চলাকালীন এই হোটেলেই থাকবে গোটা টিম।
ফলে বলাই যায়, অন্য ক্লাবের সাথে মার্জ করেও নয়, অন্য ক্লাবের নামের পিছনে ঝুলেও নয়, শহরের হোটেলে থেকে আইলীগও নয়, বরং নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে কলকাতা শহরের পাঁচতারা হোটেলে থেকে নিজের নামেই আইএসএল খেলবে ইস্টবেঙ্গল।