ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ব্রিগেড বদলে ফেলার পরেও বদলালো না কলকাতা ডার্বির ফিরতি ম্যাচের ফলাফল

Share

Facebook
Twitter
WhatsApp

[fblike]

কলকাতা ডার্বি বদলে গেছে। প্রথম ডার্বির প্রায় তিন মাস বাদে আই এস এলের ফিরতি ডার্বি। নতুন মঞ্চে, মোহনবাগানের সাথে এটিকের সংযুক্তির পর এটি দ্বিতীয় ডার্বি, কিন্তু এস সি ইস্টবেঙ্গলের দলটি তিন মাসে অনেকটাই বদলে গেছে। আই এস এলে ইস্টবেঙ্গলের পদার্পণের পর প্রথম ম্যাচটি-ই ছিল কলকাতা ডার্বি। আর তারপর বহু জল গড়িয়েছে হুগলী নদী দিয়ে। নারায়ণ দাস ছাড়া ওই ম্যাচের অন্য কোনো ভারতীয় খেলোয়াড় অষ্টাদশ ম্যাচের প্রথম এগারোতে ছিলোনা। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলে পরিবর্তন এলেও, গত তিনটি ম্যাচ একই টীম খেলেছে। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি লাল-হলুদের। এটিকে মোহনবাগানের সেট টিমের দাপটে ধরাশায়ী ইস্টবেঙ্গল।

দেখে নেওয়া যাক বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল।
তারিখ: ২৭ নভেম্বর, ২০২০
স্টেডিয়াম: তিলক ময়দান, গোয়া
প্রথম একাদশ: দেবজিৎ মজুমদার, স্কট নেভিল, ড্যানি ফক্স, রানা ঘরামী, সুরচন্দ্র সিং, লোকেন মিতেই, ভিলে ম্যাত্তি স্টেইনম্যান, নারায়ণ দাস, জ্যাক মাঘমা, বলবন্ত সিং, এন্টোনি পিলকিংটন। পরিবর্ত: মহম্মদ রফিক, ওয়াহেঙ্গবাম আঙুসানা, অভিষেক আম্বেকার
ফল ০-২ গোলে হার।

আই এস এলের প্রথম ম্যাচে, টিমের মধ্যে শুরুর দিকে দৃষ্টিনন্দন কিছু ওয়ান-টু থাকলেও, বিরতির পর খেলোয়াড়রা হতোদ্যম হয়ে পরে। তালমিলের অভাব ভীষণ প্রকট এবং ফিটনেস ছিলো তলানিতে। প্রাক-মরসুম হয়নি। শেষ মুহূর্তের বিদেশী চয়ন, কিছু নতুন পাহাড়ী ছেলে, এবং কভিড পরবর্তী অধ্যায়ে শারীরিক যত্ন না নেওয়া, নিজের সেরা সময় ফেলে আসা কিছু ভারতীয় খেলোয়াড়। নিচে দেখে নেওয়া যাক ফিরতি ডার্বির দল।

তারিখ: ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
স্টেডিয়াম: ফাতোরদা, গোয়া
সুব্রত পাল, সার্থক গোলুই, রাজু গায়কোয়াড়, ড্যানি ফক্স, অঙ্কিত মুখার্জী, সৌরভ দাস, ভিলে ম্যাত্তি স্টেইনম্যান, নারায়ণ দাস, জ্যাক মাঘমা, ব্রাইট এনোবাখরে, এন্টোনি পিলকিংটন। পরিবর্ত: আরন-আমাদি হ্যালোওয়ে
ফল ১-৩ গোলে হার।

এটিকে মোহনবাগান ম্যাচের পরে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ টনি গ্রান্টের প্রেস কনফারেন্স

ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র নারায়ণ ছাড়া বাকি সবাই শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর ফসল। আর যারা ছিল তারা? দেবজিৎ অসাধারণ গোলকিপিং করেছে। বেশ কয়েক ম্যাচে ওর গ্লাভস জোড়া বাঁচিয়ে দিয়েছে রবি ফাউলারের দলকে। শঙ্কর রায়ের কাছে আধ-ম্যাচের জন্য জায়গা হারানো সত্ত্বেও শঙ্করের চোটের পর ফিরে এসে নিজের দক্ষতার জোরে প্রথম গোলকিপারের জায়গা স্থির নিশ্চিত করে। কিন্তু ওর আউটিং-এর সমস্যা থাকায় সমর্থকদের ‘সেভজিৎ’কে জায়গা ছাড়তে হয় হায়দরাবাদ এফসি থেকে আসা ‘স্পাইডারম্যান’ সুব্রত পালকে।

শেহনাজের চোট এবং অভিষেক আম্বেকার আর মহম্মদ ইরশাদকে ছেড়ে দেবার পর দুই বিদেশীর সাথে নারায়ণ রক্ষণ সামলাচ্ছিলো। রাজু আসায় রক্ষণ জমাট বাঁধলেও, তার চোট আবার ডিফেন্সের ভিত নাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় রানা খান তিনেক ম্যাচে সুযোগ পেলেও তার গতি এবং টার্নিং-এর দুর্বলতা বারবার ধরা পড়েছে। ফিরে এসে খুব যে খারাপ খেলেছে তা নয়। তবে মুম্বাই সিটি এফসি-র অনিয়মিত সার্থক গোলুই চলে আসায় বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের হয়ে আই লীগ-২-এ মরসুম শুরু করা রানাকে প্রথম টিমে রাখার সার্থকতা ছিলোনা।

রক্ষণ যখন নড়বড়ে সাঁকো তখন সাময়িক ভাবে ফাউলার ৪ জনকে নিয়ে রক্ষণ সাজালেও, রাজু আর সার্থক ভরসা দেওয়ায় উনি আবার তিন জনের ব্যাকলাইনে ফিরে যান। একটু সময় নিলেও, স্কট ভালো খেলতে আরম্ভ করেন। অধিনায়কের ভূমিকাও পালন করেন দায়িত্বের সাথে ফক্সের অনুপস্থিতিতে। কিন্তু, তাকে বসাতে হয় আক্রমণ ভাগ শক্ত করতে, গোলের খোঁজে। কিন্তু গোড়াতেই যে গলদ। স্ট্রাইকার না থাকায় বিপক্ষ দলের ডিফেন্স বা মাঝমাঠ ভালো খেললেই বল আর তিন কাঠির ভিতরে যায়না।

নিয়মিত সুরচন্দ্রকে খেলানোয়, প্রশ্ন উঠছিলো অনেক। ওর সুবিধা হলো দুটো উইং-এই খেলতে পারে এবং রফিক বা বিকাশ জাইরুর তুলনায় ফিট। ৩-৫-২ ছকে উইং হাফদের অসম্ভব ফিট হতে হয় এবং বক্সে বল ভাসানোর পাশাপাশি রক্ষণের দায়িত্ব নিতে হয় ভালোরকম। কিন্তু ওকে দিয়ে ভালো ক্রস বা রক্ষণ সামলানো কোনোটাই হয়ে উঠছিলো না। যে সমস্যাটা রফিকেরও ছিল। জাইরু সেট-পিসে ভালো হলেও, ওর রক্ষণ বেশ দুর্বল। ত্রিশ বছর বয়সী এবং ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির জাইরুর তুলনায় ফাউলারের ফর্মেশনে সাতাশ বছরের ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির নারায়ণ নিজেকে প্রত্যাশাপূরণের জায়গায় নিয়ে যায়। এক ম্যাচ প্রথম দলের বাইরে থাকার পরে সে ক্রমশ উন্নতি করে। ডান প্রান্তের দুর্বলতা অঙ্কিত এসে আংশিক ঠিক করলেও তার ধারাবাহিকতার অভাব আছে।

সবচেয়ে ভোগায় সিডিএম। বেচারা লোকেনের এমন চোট লাগলো যে পুরো মরসুম থেকেই প্রায় ছিটকে গেলো। তারপর আসে ইউজেনসেন লিংডো, মিলন সিং, আঙুসানা এবং ট্রান্সফার উইন্ডোতে আসা অজয় ছেত্রী। মিলন শিখণ্ডীর মতন দাঁড়িয়ে থাকত, তা থাকুক। এরা সবাই বিপক্ষ পায়ে বল জমা দিয়েছে, তা দিক। লাল কার্ড দেখেছে লিংডো আর অজয়, তা দেখুক। কিন্তু সমস্যা হলো যেই খেলুক, যে যাই করুক মাঝমাঠে লকগেট খোলা থাকতো। কিন্তু মুম্বাই-এর ব্রাত্য সৌরভ দাস তিন ম্যাচে ওদের থেকে অন্তত ঢের ভালো খেলেছে।

বলবন্ত যেকটা ম্যাচ খেলেছে তাতে কতবার বল পায়ে ঠেকিয়েছে তা বোধয় হাতে গুনে বলা যায়। রক্ষণ যখন দুর্বল, ভিনীত, বলবন্তের যখন বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে, জেজে যখন পেনাল্টিবক্সে দিশাহীন, আরন যখন নিরুদ্দেশ, কিছু ম্যাচ খেললো উনিশ বছরের হার্মানপ্রীত। বস্তুতঃ বল তাড়া করার খেলা। তাতে গোল না আসায় বাম-উইং-এর খেলোয়াড় পিলকিংটনকে হতে হয় স্ট্রাইকার।

বিদেশীদের মধ্যে স্কট নেভিলের জায়গায় আসেন ব্রাইট এনোবাখরে। দুর্দান্ত খেলছেন নাইজেরীয় যুবক। ফিরতি ডার্বিতে লাল-হলুদের একমাত্র উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্তু সেও গোল করার লোক নয়। মাঝমাঠের দখল রাখতে তিন বিদেশি খেলালেও, রক্ষণে গোত্তা খেয়ে আত্মপ্রত্যয় হারানো বক্স-টু-বক্স জার্মান মিডফিল্ডারকে খেলানো হচ্ছে কিছুটা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় আর মূলত উইং-এ খেলা মাঘমাকে খেলতে হচ্ছে রক্ষণাত্মক, তিন ব্যাকের উপরে, সৌরভ দাসের পাশে। স্টেইনম্যানের অফ-ফর্মের ধাক্কায় পিলকিংটন বল পাচ্ছেনা ভালো। আর আইরিশ মিডফিল্ডার একক ক্ষমতায় রক্ষণ চুরমার করতে পারেনা। ব্রাইট একটু নিচের থেকে বল ধরে খেলতে পছন্দ করে। কিন্তু গোল পেতে হলে তার সাথে বক্সে একজন প্রকৃত স্ট্রাইকার দরকার। নইলে পায়ের জঙ্গলে তার প্রচেষ্টা জোট পাকিয়ে যাচ্ছে।

অভিজ্ঞ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস বনাম তুলনায় অনেকটাই অনভিজ্ঞ কোচ রবি ফাউলারের ট্যাকটিক্যাল লড়াই-এ গোহারান হারলেন লিভারপুলের কিংবদন্তী ফুটবলার। কৌশলের সাথে হাবাসের সৈন্য বাহিনী ছিল ধারে ভারে অনেক এগিয়ে। এটা অনস্বীকার্য যে শুধু ভারতীয় ব্রিগেড দুর্বল তা নয়, দুটি দলের ভারতীয় খেলোয়াড়দের মানসিকতায় পার্থক্য ছিল অনেক। প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বোস, সন্দেশ ঝিঙান, লেনি রদ্রিগেজ, মানবীর সিং, এমনকি শেষ মুহূর্তে নামা প্রণয় হালদার-এর মান নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। বড়ো ম্যাচের প্রবল চাপে সার্থক আর অঙ্কিতকে বারংবার নড়বড়ে লেগেছে। বোঝাপড়ার অভাব ধরা পড়েছে বহুবার। অঙ্কিত দাস খেলার সাথে সাথে উন্নতি করলেও তার সেন্টারগুলো ছিলো যেন হাওয়ায় ভাসানো কাগজের রকেট।

বিদেশী খেলোয়াড়রাও ছিল অপেক্ষাকৃত ভাবে ভোঁতা। প্রথম লেগে নেভিলের দুপায়ের ফাঁক দিয়ে গোল হলেও, সেটা ভয়ঙ্কর ভুল বলা যায়না।

ব্লকিং-এ গলদ, যেটা হয়েই থাকে, তাও নতুন আঙ্গিক, মরসুমের প্রথম ম্যাচে। কিন্তু ড্যানি ফক্সের যে ভুল থেকে এটিকেম্বি দ্বিতীয় গোলটি করে সেটা মেনে নেওয়া যায়না। গোটা ম্যাচেই সে রক্ষণভাগকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ। স্টেইনম্যান আটকে গেলেই মুশকিল। ভিলে ম্যাত্তি স্টেইনম্যান ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে তার সবচেয়ে খারাপ ম্যাচটি খেললো। আর সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ খেলার দখল নিতে পারেনি গোটা ম্যাচে। ব্রাইট একা পরে যাচ্ছে। দীর্ঘদেহী, শারীরিকভাবে ধ্বংসাত্মক এটিকেএমবি-র ডিফেন্স লাইনের মুখে পিলকিংটন রীতিমতো খাবি খাচ্ছিলো। আরন খেলার শেষে বেশ চোটপাট করছিলো ফক্সের উপর। তার এই উত্তেজনা যদি মাঠে ভিতর দেখা যেত তবে ফাউলারের একটু সুবিধা হতো। সব নিয়োগ উন্নত মানের হয়না, সবাইকে গোটা ম্যাচ খেলানো যায়না। বার্থোলোমিউ ওগবেচে, ব্র্যাড ইনমান, মার্সেলিনহো পেরেরা, জিসকো হার্নান্দেজ ইত্যাদির মতন নামজাদা খেলোয়াড়রাও অন্য টিমে শেষ দশ মিনিট নামছে বা নামছিল। কিন্তু তাদের ঐটুকু যোগদান অর্থবহ হয়। আরন নামলে শুধু বল ধরে যুদ্ধ করে বিপক্ষের খেলা নষ্ট করার বাইরে কোনো উপযোগিতা চোখে পড়েনি। ছয় বিদেশির দল এবার ইস্টবেঙ্গল। যাই হোক, মাঘমা উপরের দিকে খেললে চাপ বাড়ানো যেত নিশ্চই, কিন্তু সেটা হারাকিরি হয়ে যেত। এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠ দ্রুত জায়গা ছোট করে আনায় জ্যাক মাঘমার গতির অভাব ধরা পড়েছে বারবার। ফক্সও বেশ মন্থর। রাজু নিজের সেরাটি দেবার চেষ্টা করেছে গোটা ম্যাচেই। বিপক্ষের দুর্ধর্ষ মাঝমাঠ আর সুযোগ-সন্ধানী রয় কৃষ্ণা, মানবীর সিং আর ডেভিড উইলিয়ামস লাল-হলুদের রক্ষণের ত্রয়ীকে সেক্ষেত্রে ঘুরবার সুযোগ দিতোনা।

মার্সি-সাইড ডার্বিতে রূপকথা লেখা ফাউলার, যে তার প্রথম ডার্বিতেই জয়সূচক গোল করে এভার্টনকে হারিয়েছিল, তিনি ডার্বির গুরুত্ব বোঝেন নিশ্চই। তবে কলকাতা ডার্বি যে হেরে ফেরা যায়না, সেটা হয়তো তিনি অনুধাবন করেননি। ত্রাস সৃষ্টি করা বিপক্ষের আক্রমণের বিরুদ্ধে তার ৩-৫-২ ছকে দল নামানো অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের পরিচয়। কারণ, সবুজ-মেরুন ডিফেন্সের সামনে ইস্টবেঙ্গলের ফরওয়ার্ড লাইন সার্বিক দক্ষতার মাপ কাঠিতে বেশ পিছিয়ে। আশ্চর্য্য দক্ষতায় করা বা পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো গোল ছাড়া জালে বল ঠেলা অসম্ভব সেটা কি উনি বোঝেননি? উনি হয়তো জিততেই চেয়েছিলেন। সেই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানোই যায়। যেমন সবাইকে অবাক করে কাল জামশেদপুর এফসি হারালো মুম্বাইকে। তবে গোল এসে যাবার পরেও সেটাকে ধরে রাখা যায়নি। সেটা কি খুব আশ্চর্য্যের? না। বরঞ্চ সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে রক্ষণ হাঁসফাঁস করছে দেখেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা না করা আশ্চর্য্যের। মানুষ চাপের মুখেই ভুল করে আর ঠিক তাই হয়েছে। আর পিছিয়ে পড়লে ম্যাচে ফেরত আনার লোক নেই, ফিরে আসা যায়-ও নি। তাতেও কেউ অবাক হয়েছেন বলে মনে হয়না। অবাক হতে হয়েছে হঠাৎ করে উঁচু করে বল ফেলে খেলার চেষ্টা দেখে।

প্ল্যান-বি নেই কেন ? কারণ খেলোয়াড় নেই। এমনি-ই অধিকাংশ খেলোয়াড় নিজেদের স্বাভাবিক জায়গায় খেলছেন না। অধিকাংশ পজিশনে একাধিক খেলোয়াড় নেই। তবে কোচ তার স্ট্র্যাটেজিতে কেন পরিবর্তন আনবেন না? সেটা কি তার গোঁয়ার্তুমি নয়? এই প্রশ্নের উত্তরে এটুকুই বলা যায় যে, কোনো কোচ নিজের ধরণ সহজে পরিবর্তন করেন না। তাই ওনারা দলে নেন তেমন খেলোয়াড়দেরই যারা ওর পদ্ধতি বা দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে অনায়াসে মানিয়ে নিতে পারবে। তাদেরই সময় দেন, যারা সেই ধরণের সাথে সাবলীল হবার ইঙ্গিত রাখছে। যেই কোচের হাতে যত বেশি উচ্চমানের বিকল্প, যত বেশি ‘ইউটিলিটি’ খেলোয়াড় তার হাতে ততো বেশি প্ল্যান। বিপক্ষ দলে এমনকি বেঞ্চের খেলোয়াড়রাও গত বছর এই টিমেই খেলেছে। আর লাল-হলুদে নতুন খেলোয়াড় খেলাতে হচ্ছে মরসুম শুরু করা খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিয়ে বা বেঞ্চে বসিয়ে। প্রথম স্থানে থাকা ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলা দলের বিরুদ্ধে ব্যাপারটা খুব সহজ নয়।

অতএব লাল-হলুদ জার্সিতে খেলোয়াড় বদলালেও এই ম্যাচের ফলাফল বদলালো না।

League Table

PosClubPWDLFAGDPts
1Hyderabad FC129122471728
2Mumbai City FC1183032112127
3ATK Mohun Bagan127231712523
4Kerala Blasters FC117131914522
5FC Goa126152016419
6Odisha FC116141515019
7Chennaiyin FC114252123-214
8East Bengal114071320-712
9Bengaluru FC12318817-910
10Jamshedpur FC11128819-115
11NorthEast United FC1210111033-233

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.