কথায় বলে, যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। এই বছরের আইএসএলে নিজেদের হোমগ্রাউন্ড তিলক ময়দানে মরশুমের ১৫-তম ম্যাচটি খেলতে নামার আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলারের বক্তব্যেও তারই প্রতিচ্ছবি।
এমনিতে হঠাৎ করে কেউ আইএসএল ২০২০-২১-এর লীগ টেবিলের দিকে তাকালে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্লেঅফে যাওয়ার সম্ভাবনাকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিতেন। আর মাত্র ৬-টা ম্যাচ বাকি; এই মুহূর্তে চতুর্থ স্থানে থাকা এফসি গোয়া অথবা পঞ্চম স্থানে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র তুলনায় সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে পরিষ্কার ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে। কিন্তু টিমটা ইস্টবেঙ্গল বলেই বোধহয় কেউ একেবারে ফেলে দিতে পারছেন না। সাথে লীগের টিমগুলোর যা উত্থান পতনের নমুনা, এবছরের কলকাতার শীতের তাপমাত্রার পারদের খামখেয়ালীপনাকেও হয়তো টেক্কা দেবে।
লীগ টেবিলে কামব্যাকের ক্ষেত্রে লাল হলুদ শিবির অনুপ্রেরণা নিতেই পারে তাদেরই প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিলের প্রশিক্ষণাধীন নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র। দুসপ্তাহ আগেও ধুঁকতে থাকা টিমটা পরপর তিনটে ম্যাচে হারিয়েছে ভালো ফর্মে থাকা জামশেদপুর এফসি এবং লীগের এক ও দুই নম্বর দল মুম্বাই সিটি এফসি আর এটিকে মোহনবাগানকে। অর্থাৎ, ফিরে আসা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের আর হারানোর কোনও ভয় নেই। চাপটা কিন্তু এখন টেবিলের তিন থেকে নয়ে থাকা টিমগুলোর উপর। রবি ফাউলারের ছেলেদের কাজ শুধু এখন ফোর্থ গিয়ারে ফেলে অন্যদের তাড়া করা। বাকিটা টুর্নামেন্টের শেষে দেখাই যাক না। কাল কিসনে দেখা?
এবারে আসা যাক আজকের ম্যাচের চর্চায়। আসলে লীগের শেষ ল্যাপে এসে প্রতিপক্ষ, টিম কম্বিনেশন, ফর্মেশান – সবকিছুই খানিকটা গৌণ হয়ে যায়। প্রচুর সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করার নাছোড়বান্দা মানসিকতাই অনেক ম্যাচ জিতিয়ে আনে। তবুও একনজরে দেখে নেওয়া যাক দুই পুরোনো প্রতিপক্ষের বর্তমান অবস্থা।
বেঙ্গালুরু এফসি:
২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে জেএসডাব্লিউ গ্ৰুপের পার্থ জিন্দালের মালিকানাধীন এই ক্লাবের এরকম করুণ অবস্থা বোধহয় এর আগে আসেনি। আদ্যোপান্ত পেশাদারিত্বের চাদরে মোড়া এই ক্লাব সাধারণত ভারতীয় ফুটবলকে অনেক ক্ষেত্রেই নতুন দিশা দেখিয়েছে। কিন্তু এই বছর বেঙ্গালুরু এফসি-র অবস্থা বেশ ছন্নছাড়া। চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হুয়ানান। কার্ড সমস্যায় নেই মাঝমাঠের স্তম্ভ অস্ট্রেলিয়ান এরিক পার্তালু। পারিবারিক সমস্যায় দেশে ফিরে গিয়েছেন আরেক স্পেনীয় মিডফিল্ডার দিমাস দেলগাডো।
কিন্তু এতকিছু নেই-এর মধ্যেও এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ভাবাচ্ছে অনেক কিছু। যে দলের আপফ্রন্টে রয়েছেন অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রী এবং ফর্মে থাকা ক্লেইটন সিলভা, তাদের ছোট করে দেখা মানে পারতপক্ষে নিজেদের কবর খোঁড়া। সুনীল ৩৬ বছর বয়সে এসেও পাঁচ গোল করে এবারের আইএসএলেও ভারতীয়দের মধ্যে টপ স্কোরার। ক্লেইটনের নামের পাশে ৪ টে গোল, ৩ টে অ্যাসিস্ট। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নিজের গোলের খাতা খুলতে মরিয়া থাকবেন ক্রিশ্চিয়ান অপসেথও। যদিও কোয়ারান্টাইনে থাকার দরুন জানুয়ারী ট্রান্সফার উইন্ডোতে সই করা অভিজ্ঞ ফরওয়ার্ড সিস্কো হার্নান্দেজকে এই ম্যাচে পাবে না বেঙ্গালুরু এফসি।
প্লেঅফের আশা জিইয়ে রাখতে গত ৮ ম্যাচে জয়ের মুখ না দেখা বেঙ্গালুরুর কাছেও এই ম্যাচটি ডু অর ডাই। আর জেতার লক্ষ্যে নিজেদের সর্বশক্তি নিয়েই যে ঝাঁপাবেন নৌশাদ মুসা, তা বলাই বাহুল্য। ডিফেন্সে থাকবেন গতবছর মোহনবাগানে খেলে যাওয়া ফ্রান গঞ্জালেজ। সাথে থাকবেন ইস্টবেঙ্গলের দুই প্রাক্তনী হারমানজোত সিং খাবড়া ও রাহুল বেকে। উইংয়ে যথেষ্ট ভয়ঙ্কর উদান্তা সিং। তবে বেঙ্গালুরু এফসির তুরুপের তাস হতেই পারেন ২২ বছর বয়সী লিওন অগাস্টিন। গত হায়দ্রাবাদ এফসি ম্যাচেই একটি দৃষ্টিনন্দন গোল করেছিলেন। কোচ নৌশাদ মুসাও বেঙ্গালুরুর নিজস্ব একাডেমি থেকে উঠে আসা তরুণ এই ফুটবলারকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।
সব মিলিয়ে কাগজে কলমে কিছুটা ব্যাকফুটে থাকলেও হাল ছাড়ার পাত্র নন সুনীলরা।
এসসি ইস্টবেঙ্গল:
লাল হলুদ শিবিরের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ যথেষ্ট পজিটিভ। ম্যাচে প্রায় সবই করছেন রবি ফাউলারের ছেলেরা, তবু যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেই কাঙ্খিত জয়টাই যে আসছেনা। প্রতি ম্যাচে বক্সে গিয়ে খেই হারানো আর গাদা গাদা সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হচ্ছে আইএসএলে এবারই অভিষেক করা লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবকে।
প্রথমে পজিটিভগুলো নিয়েই আলোচনা করা যাক। টিমের খেলায় প্রতিদিন উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। ১৪ ম্যাচের পরে যদি পিছনে ফিরে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রথম সাতটা ম্যাচে ১৩ গোল খাওয়া টিমটা পরের সাতটা ম্যাচে হজম করেছে ৫টা গোল।
গত সাতটা ম্যাচে লীগের প্রথম দুই টিমের সঙ্গে তুলনা করলেই ছবিটা আরও বেশী স্পষ্ট হয়ে যাবে:
মুম্বাই সিটি এফসি – গোল করেছে ৯ টা, খেয়েছে ৪ টে
এটিকে মোহনবাগান – গোল করেছে ৮ টা, খেয়েছে ৬ টা
এসসি ইস্টবেঙ্গল – গোল করেছে ৭ টা, খেয়েছে ৫ টা
মুম্বাই সিটি এফসি যেখানে গতবছরের লীগ চ্যাম্পিয়ন এফসি গোয়ার কোচসহ টিমের নিউক্লিয়াসটাই তুলে নিয়ে চলে এসেছে, এটিকে মোহনবাগান যেখানে বকলমে গতবারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে টিমটাই নব কলেবরে খেলছে এবং গত তিন বছর ধরে প্রায় সেট টিম ধরে রেখেছে, সেখানে ঠিক কি পরিস্থিতিতে রবি ফাউলার এবং তাঁর সহকারীরা একগাদা আনকোরা কিছু তরুণ এবং সাথে অন্যান্য আইএসএল দলের বাতিল কিছু বয়স্ক ও আনফিট ফুটবলারকে নিয়ে এবারের আইএসএল খেলতে নেমেছেন, তা কারোরই অজানা নয়। তার সাথে রেফারিংয়ের সমস্যা তো আছেই। রেফারিং নিয়ে প্রথম দিন থেকে মুখ খুলে এফএসডিএলের কাছে ব্যাডবয় হয়েছেন, কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, প্রতিটা টিমের কোচেরাই ফাউলারের দেখানো পথে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
তাহলে কি লিভারপুল লেজেন্ডের কোনও ত্রুটি নেই? আলবাত আছে। লিভারপুল এফসির সমর্থকরা যাঁকে “গড” বলে ডাকেন, তাঁর ফুটবলীয় প্রজ্ঞাকে প্রশ্ন করার আস্পর্ধা ভূভারতে কারোর আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু তবুও, তাঁর কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকছেই।
একটা ব্যাপারে বোধহয় সবাই একমত হবেন যে, এসসি ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের প্রাণভোমরা ম্যাত্তি স্টেইনম্যান। এই ওয়েবসাইটেই পূর্ববর্তী প্রতিবেদনগুলোতে সেই কথা বারংবার বলেও হয়েছে। এফসি গোয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৮ জনের স্কোয়াডে রেখেও তাঁকে না নামানোর অর্থ বোধগম্য নয়। একইভাবে চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর থেকে অ্যান্টনি পিলকিংটনের অফফর্ম চলা সত্ত্বেও তাঁকে ৯০ মিনিট মাঠে রেখে দেওয়ার কারণ কিছুটা হলেও দুর্বোধ্য।
বাকি টিম নিয়ে সত্যি বলতে এই মরশুমে আর খুব বেশী শব্দ খরচ করা বৃথা। সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে মিলন সিং এবং অজয় ছেত্রীর পারফরমেন্স একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় দেখ। যেদিন মিলন খেলেন, সেদিন মনে হয় অজয় খেললে ভালো হতো, আর অজয় খেললে মনে হয় উল্টোটা। মহম্মদ রফিককে নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে বেশ আশা ছিল, এবং প্রথম কয়েকটা ম্যাচে তর্কাতীতভাবে রফিক এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেরা ভারতীয়ই ছিলেন। কিন্তু তারপর যেন কিছুটা খেই হারিয়ে ফেললেন। গত ম্যাচেও প্রথম তিরিশ মিনিটে নেমে বেশ কিছু মিসপাস করতে দেখা যায়, যেটা মোটেও রফিকসুলভ নয়। নামাতে হয় অঙ্কিতকে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন ওঠে ফাউলারের প্রথম একাদশ নামানো নিয়ে। তিনি প্রথমেই অঙ্কিতকে নামাতে পারতেন। প্রশ্ন উঠতে বাধ্য জাইরু, লোকেন মিতাইদের অনুপস্থিতি নিয়েও। তবে বিভিন্ন মহল থেকে অ্যারন আমাদি হলোওয়েকে প্রথম একাদশে খেলানোর কথা উঠলেও যদি ফাউলারের কোচিংয়ে ব্রিসবেন রোরের গত মরশুমের তথ্য কিছুটা ঘাঁটা হয়, তাহলে দেখা যাবে বেশীরভাগ ম্যাচেই তিনি অ্যারনকে পরিবর্ত হিসাবেই নামাতেন। এখন দেখার, চাপে পড়ে ব্রিটিশ কোচ তাঁর স্ট্র্যাটেজি এই ম্যাচে পাল্টান কিনা।
আসলে একের পর এক ড্র চাপে ফেলছে পুরো টিমটাকেই। জয় সবসময়ই মধুর। তিন পয়েন্ট অনেক খামতিকেই ঢেকে দেয়। আবার প্রতি ম্যাচে ভালো খেলেও যদি দু পয়েন্ট মাঠে ফেলে আসতে হয়, তাহলে সেই ভালো খেলার আর কোনও মূল্য থাকে না। তখনই নিরীহ ভুলগুলোও বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হচ্ছে। টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার নিঃসন্দেহে দেবজিৎ মজুমদার। এখনও অবদি ৪৯টি সেভ দিয়েছেন তিনি। আবার টুর্নামেন্টের সেরা বিদেশীও হয়তো ব্রাইট এনোবাখারে। কিন্তু এঁদের ভালো খেলার দাম থাকছে না বাকিদের মধ্যমমানের পারফরমেন্সে। তবে স্কট নেভিল প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁর উপর আস্থা রেখে খুব একটা ভুল করেননি রবি ফাউলার। গত কয়েকটা ম্যাচে ভরসা জুগিয়েছেন নারায়ণ দাসও।
আজকের ম্যাচের টিম কম্বিনেশন নিয়ে খুব বেশী আলোচনা করার কিছু নেই। একমাত্র দেখার বিষয় এটাই যে, ৪৮ ঘন্টা আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে যোগ দেওয়া দুই বঙ্গতনয় সার্থক গলুই এবং সৌরভ দাস আজ ১৮ জনের স্কোয়াডে থাকেন কিনা। মাঝমাঠে আজ হাওবাম তোম্বা সিংকে দেখা গেলেও যেতে পারে। ফিরতে পারেন রাজু গায়কোয়াড়ও। তবে সত্যি বলতে, রবি ফাউলারের হাতে অপশন বেশ সীমিত এবং মধ্যমানের হওয়ার দরুন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকেই দেখতে হচ্ছে, ফলে ১৪ ম্যাচ পরেও প্রথম একাদশ বাছতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
যাই হোক, মাস্ট উইন ম্যাচে হাতের কাছে যা রসদ আছে, তাই নিয়েই লড়াই করতে হবে। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে প্রি সিজন না হওয়া, আইলীগ স্ট্যান্ডার্ডের টিম হাতে পাওয়া, বাজে রেফারিং – এই ব্যাপারগুলো সাধারণ সমর্থকরা যথেষ্ট সহানুভূতির সঙ্গে দেখেছেন। কিন্তু বারবার বললে সেগুলো খানিকটা অজুহাতের মতোই শুনতে লাগে। রবি ফাউলার, টনি গ্রান্টদের কাছে সময় এসেছে সমর্থকদের সমালোচনাগুলোকে প্রশংসায় বদলে ফেলার। লিভারপুল এফসির কিংবদন্তির কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ নিশ্চয়ই অজানা নয়।
উল্টো দিকে লাল হলুদ সমর্থকদেরও এই ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে যেন সমালোচনার দাঁত নখে কোচ, খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট এতটা ক্ষতবিক্ষত না হন, যাতে আগামী বছর আবার শূন্য থেকে সবকিছু শুরু করতে হয়। মনে রাখতে হবে, একশো বছরের এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই সাধারণ সমর্থকরাই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অগুনতি সাফল্যের যতটা কৃতিত্ব প্রাক্তন কোচ, খেলোয়াড়দের, ঠিক ততটাই সবকিছু ছেড়ে টিমের জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম গলা ফাটানো সমর্থকদের। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় সার্কিটে বেশ কিছুটা পিছিয়েই পড়েছে লক্ষ লক্ষ সমর্থকপুষ্ট ক্লাব। শেষ কবে জাতীয় দলের নিয়মিত কোনো প্লেয়ার ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন, তা গবেষণার বিষয়। তাঁরা কেন ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসতে চাইছেন না, সে বিষয়ে আত্মসমীক্ষার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। ফলে নিখাদ আবেগের বশবর্তী হয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করতে গিয়ে কোথায় রাশ টানা জরুরী, সেটা নিয়েও সমর্থকদের বোধহয় কিছুটা সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
সবশেষে, সাফল্যের কোনও বিকল্প নেই। একটা জয়ই পারে লাল-হলুদ শিবিরের গুমোট পরিবেশ কাটাতে। আশা করাই যায়, সেই লক্ষ্যেই মাঠে নামবেন রবি ফাউলারের ছেলেরা। এখন তো একটাই স্লোগান হওয়া উচিত – হয় মারো, নয়তো মরো।