ভারত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দেশ। ভারতবর্ষে হাজারের বেশি ভাষা বলা হয়, বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন বৈচিত্র দেখা যায়, তার প্রভাব যে ফুটবলেও পড়ে সেটা ইস্টবেঙ্গলের অন্দরমহল দেখলেই বোঝা যায়। কিছু দিন আগেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের টুইটার হ্যান্ডেলে একটা ভিডিও পোস্ট করা হয় যেখানে আমাদের সাত বিদেশিদের পরিষ্কার বাংলায় বলতে দেখা যায় “ছিলাম, আছি, থাকবো।” তবে ভারতীয় সংস্কৃতি যে লাল হলুদ যোদ্ধাদের এতটা প্রভাবিত করবে সেটা হয়তো কেউ টেরও পাননি।
গত ২৬-এ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় যেখানে দলে থাকা বিভিন্ন খেলোয়াড়রা নিজেদের মাতৃভাষায় দর্শকদের প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান। হারমান, মিরশাদ, জেজেরা দেখিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের অন্দরমহলে একতা বিন্দুমাত্র কম নেই। এমনকি সদ্য দলে যোগ দেওয়া সোদপুরের সুব্রত পালও নিজের তরফ থেকে বাংলায় প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন ভাষায় ভালোই মজেছেন মিডফিল্ড ইঞ্জিন মাত্তি স্টেইনম্যান। কিছুদিন আগে বাংলায় “ছিলাম আছি থাকবো” শেখার পর এখন হিন্দি শিখছেন জার্মান খেলোয়ারটি। কাল ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে টিম বসে মিডিয়া টিমের সাথে হিন্দি ভাষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি।
আরেকটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে কয়েকদিন আগে। গাব্বায় অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর পুরো ভারতে যেরকম উৎসবে মেতে উঠেছিলো, তার থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই ইস্টবেঙ্গল শিবির। শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার স্কট নেভিলকে ভারতীয়দের থেকে স্লেজিং শুনতে হলেও পরে পুরো দল একসাথে ক্রিকেট খেলে যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরালও হয়। এমনকি আইরিশ উইজার্ড পিলকিংটন যেকোনো পেশাদার বোলারের মতো বলও করেন। ব্যাট হাতে চমক দেন অজয় ছেত্রী।
শেষ ৮ ম্যাচে ৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর খেলোয়াড়দের মনোবল তো এমনিতেই তুঙ্গে আছে, সাথে ম্যানেজমেন্টের এরকম পদক্ষেপকে দুহাতে স্বাগত জানিয়েছে দর্শক ও সমর্থকরা।