গত ম্যাচে এটিকে এমবির বিরুদ্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ করার পর নর্থইস্টের বিরুদ্ধে আন্ডারডগ হিসেবেই খেলা শুরু করতে চলেছে ফাউলার ব্রিগেড। গত ম্যাচে ডিফেন্সের বেহাল দশা দেখার পর এই ম্যাচে দলে কি বদল আনবেন ফাউলার এবং গ্র্যান্ট, তা সময় বলবে তবে আগামী ২ ম্যাচ নেহাত নিয়মরক্ষার খেলা। সেমি ফাইনাল খেলার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো, তবে ফিরতি ডার্বি নিয়ে আলাদা আবেগ তৈরি হয়েছিল সমর্থকদের মনে। কিন্তু ১-৩ গোলে ডার্বিতে পরাস্ত হওয়ার পর আপাতত লিগে কতটা ওপরে থাকা সম্ভব, সেটার প্রতি হয়ত নজর দিচ্ছে লাল হলুদ শিবির।
খালিদ জামিল আসার পর নর্থইস্ট সুন্দর ফুটবল উপহার দিচ্ছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর “হাইল্যান্ডার্সদের” টানা ৩ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ। তবে আগের ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে শেষ মিনিটের গোলে ড্র অর্জন করে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে অবশ্যই এগিয়ে থাকবে নর্থইস্ট। বেঙ্গালুরু থেকে সদ্য দলে যোগ দেওয়া স্ট্রাইকার দেশর্ন ব্রাউনও গোলের মধ্যে রয়েছেন, তাই ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে যে আবারও চরম পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে, সেটা বলার আর বাকি থাকেনা।
অপর দিকে ব্রাইট এনবাখারে যে ভাবে আইএসএল খেলা শুরু করেছিলেন, তার থেকে সেই প্রত্যাশিত খেলাটা আর পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে এদিকে ব্রাইটকে দোষ দিলে হবেনা, দলের অন্য কোনো খেলোয়াড় তাকে যোগ্য সাপোর্ট দিতে অক্ষম। অবশ্য যখন পিলকিংটনের মতো ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডারকে লোন স্ট্রাইকারের ভূমিকা পালন করতে হয়, সেরম দলের থেকে খুব বেশি আশা করাটাই বোধয় উচিত না, ওদিকে দেশীয় ব্রিগেডের অবস্থাও তথৈবচ। তবে মাঝমাঠে সৌরভের খেলায় মজেছেন সমর্থকেরা, জানুয়ারিতে দলে যোগ দিয়ে নিজের জায়গা মোটামোটি পাকা করে ফেলেছেন এই বঙ্গসন্তান।
আবার কার্ড সমস্যায় জর্জরিত এসসি ইস্টবেঙ্গল। চতুর্থ হলুদ কার্ড দেখে নর্থইস্ট ম্যাচে থাকতে পারবেননা ফক্স এবং মাঘমা, তাই শুরু থেকে নেভিল এবং আমাদী কে খেলতে দেখা যেতে পারে। চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ফর্মে থাকা সৌরভ, তার জায়গায় হয়তো প্রথম একাদশে রফিক ফিরে আসতে পারেন। বোঝাই যাচ্ছে, অনেকটা ব্যাকফুটে আছে ইস্টবেঙ্গল।
পঞ্চম স্থানে থাকা নর্থইস্ট এফসির কাছে বাকি দুটো ম্যাচই ডু অর ডাই ম্যাচ, কারণ একই সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলে ৪ নম্বরে আছে হায়দ্রাবাদ এফসি। কাজেই বাকি দুটো খেলাতে ৬ পয়েন্ট পাওয়ার সাথাসাথী হায়দ্রাবাদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে নর্থইস্ট এফসিকে। এটিকে এমবির বিরুদ্ধে ড্র করার ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও কোনো মতেই আত্মতুষ্ট হতে নারাজ খালিদ ব্রিগেড। অপর দিকে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য থাকবে সমর্থকদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর কারণ এখনো সবাই ধোঁয়াশায় আছে, শ্রী সিমেন্ট কি আদেও থাকবে, এসসি ইস্টবেঙ্গল কি আদেও পরের আইএসএল খেলবে?