ইস্টবেঙ্গলের সাবেকি কর্তাদের হেলদোলহীন আচরণে এবার চরম ক্ষুব্ধ এফএসডিএল (FSDL) কর্তৃপক্ষ। একদিকে ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, অন্যদিকে নতুন প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশনের জন্য Transfer Window খুলে গেছে। কিন্তু ফাইনাল এগ্রিমেন্টে ক্লাবের সাবেকি কর্তারা সই না করায় SC East Bengal-এর লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং নতুন প্লেয়ার নেওয়া – দুটোই এখন অথৈ জলে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে SC East Bengal-এর জন্য FSDL আগামী সপ্তাহের পর আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়।
সাবেকি কর্তারা এতদিন ভেবেছিলেন, শ্রী সিমেন্ট গোষ্ঠী হয়তো শুধুই তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার খেলা খেলছেন, কিন্তু তলে তলে ISL খেলার সব ব্যবস্থাই করে রাখছেন। কিন্তু তাঁদের এমন ভাবনা মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয়! কারণ শ্রী সিমেন্ট গোষ্ঠী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ফাইনাল এগ্রিমেন্টে সই না হলে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি তো দূরের কথা, তাঁরা নতুন করে একটা পয়সাও ইনভেস্ট করবেন না। অনিশ্চয়তার ওপর ভর করে তাঁরা টাকা নষ্ট করতে রাজি নয়।
হাতে আর সময়ও নেই। তাই FSDL কর্তৃপক্ষ একপ্রকার চরমবার্তা দিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়ে দিয়েছে আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত FSDL-কে জানিয়ে দিতে। এই পরিস্থিতিতেও কি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা নীতু সরকারের ঘুম ভাঙবে? ফাইনাল এগ্রিমেন্টে সইয়ের পক্ষে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের কথা ভেবে কি এবার নীতু সরকার সই করে দেবেন? নাকি, নিজের কায়েমি স্বার্থ ও পদের লোভে আপামর লাল-হলুদ জনতার ISL খেলার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দেবেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোভিড-কালে চরম আর্থিক মন্দার বাজারেও শুধুমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং FSDL কর্ণধার নীতা আম্বানির মুখের দিকে তাকিয়ে শ্রী সিমেন্ট গোষ্ঠী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ইনভেস্ট করতে রাজি হয়েছিল। তাই, নীতু সরকারের নেতৃত্বে সাবেকি কর্তাদের এই দুর্ব্যবহারের ফলে যদি শ্রী সিমেন্ট গোষ্ঠীকে চলে যেতে হয়, সেটা মুখ্যমন্ত্রী এবং FSDL দুপক্ষেরই কর্পোরেট জগতে লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তার ফল আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ভোগ করতে হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই!