জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে চমক দিলো ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। ভারতের বিখ্যাত “স্পাইডারম্যান” বা সোদপুরের ছেলে সুব্রত পাল কে মরসুমের শেষ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ করলো লাল হলুদ শিবির। যদিও গোলকিপিং নিয়ে খুব একটা সমস্যায় ছিলোনা ফাউলার প্রশিক্ষাধীন এসসি ইস্টবেঙ্গল, তবুও সুব্রত পালকে সই করানো নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। আসলে দেবজিতের তুখোর ফর্মের পরেও টিমে নতুন গোলরক্ষক আনা নিয়ে ক্ষুব্ধ জনৈক সমর্থক, তবে ঘরের ছেলে ফিরে আসায় যথেষ্ট আবেগ সৃষ্টি হয়েছে মশালধারীদের মধ্যে।
সুব্রত পালের ফিরে আসার মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে হায়দ্রাবাদে যোগ দিয়েছে তরুণ গোলরক্ষক শঙ্কর রায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পেজে এই ট্রান্সফার কে “সোয়াপ ডিল” বলা হলেও ইবিআরপি নিশ্চিত বলতে পারে এটা সোয়াপ ডিল নয়, শুধু লোন ডিল। মরসুম শেষে আবারও লাল হলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন শঙ্কর।
সুব্রত পাল এর আগে আবেগের লাল হলুদ জার্সি গায়ে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত খেলেছেন। তিনি মোট ৩১ টি ম্যাচ খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। এ ছাড়াও জাতীয় দলে চুটিয়ে খেলেছেন তিনি। ২০০৭ থেকে মোট ৬৭ বার দেশের জার্সি চাপিয়ে তিন কাঠির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ ও ২০০৯ এ নেহরু কাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় অবদান রয়েছে বাঙালি গোলরক্ষকটির।
সুব্রতর কেরিয়ারে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে ২০১৪ সালে, যখন ড্যানিশ ক্লাব ভাইকিংস এ ডাক পান তিনি। প্রথম একাদশে একবারও জায়গা না পেলেও ভাইকিংসের রিসার্ভ দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। সেই সময়ে তিনি চতুর্থ ভারতীয় ফুটবলার ছিলেন যিনি নিজের পেশাদার জীবনে বিদেশি ফুটবল ক্লাব থেকে ডাক পান।
আইএসএলে এর আগে সুব্রত মুম্বাই সিটি এফসি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি, জামশেদপুর এফসি ও হায়দ্রাবাদ এফসি তে খেলেছেন। প্রতিটা দলেই তিনি প্রথম দলে সুযোগ পেয়ে এসেছেন, তবে এবছর গল্প অন্য। হায়দ্রাবাদের হয়ে এবছর মাত্র ৬ বার খেলেছেন সুব্রত, তার পর গোলের সামনে তার জায়গায় কাট্টিমানি সুযোগ পান। ইস্টবেঙ্গলের দেবজিতও সম্ভবত তার জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ২ বার ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে গেছেন। নির্দ্বিধায় বলাই যায় সুব্রত আসার পরেও দেবজিতই ফাউলারের প্রথম পছন্দ থাকবেন, তবে কেই বা বলতে পারে আগামী দিনে আবারও সুব্রতকে ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে গোলের নিচে দাঁড়াতে দেখা যাবে! ইবিআরপির তরফ থেকে সুব্রতকে নিজের জীবনের এই নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্যে অনেক অনেক অভিনন্দন।
2 Comments
Amaar mone hoy ei deal ta next year er kotha bhebe kora… Jodi Subrata practice e bhalo perform kore, team er shathe set hoye jaay ta hole next year e amaader 1st choice GK hobe… Debjit er reflex jotoi bhalo hok, all round basis e Or kichhu khhamti achhe.. Tar mul karon holo or short height… But ebochhor mone hoy na Subrata khub akta match time paabe.. Mainly Debjit i khelbe…
Good observation. Haan, ei bochor Debjit e khelbe but next season Sankar phire asbe, toh maybe 2nd choice Sankar hbe…