উয়েফা ইউরো শুরু হতে আর ২০ দিনও বাকি নেই, তাই বিভিন্ন দেশ নিজেদের দল ঘোষণা করা শুরু করে দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে সবার নজর স্পেনের দিকে, যাদের দল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। সৌজন্যে, স্পেনের হেড কোচ লুইস এনরিকে, যিনি আসন্ন ইউরোর জন্যে রিয়াল মাদ্রিদের একটিও খেলোয়াড়কে দলে রাখেননি। তবে তিনি দলে কাদের রাখলেন? স্পেন কি তাহলে আর “ফেভারিট” নয়? চলুন স্পেনের জাতীয় দলের খুঁটিনাটি দেখে নেওয়া যাক।
স্পেনের ঘোষিত দল
গোলরক্ষক: ডেভিড দা হেয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), উনাই সিমন (আথলেটিক বিলবাও), রবার্ট সানচেজ (ব্রাইটন)।
রক্ষণ: পাউ টোরেস (ভিয়ারিয়াল), আয়মারিক লাপোর্তে (ম্যানচেস্টার সিটি), এরিক গার্সিয়া (ম্যানচেস্টার সিটি/বার্সেলোনা), দিয়েগো লোরেন্তে (লিডস ইউনাইটেড), মার্কোস লোরেন্তে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), জর্ডি আলবা (বার্সেলোনা), জোসে গায়া (ভ্যালেন্সিয়া), সিসার আজপিলিকুয়েটা (চেলসি)।
মাঝমাঠ: সের্খিও বুস্কেত্স (বার্সেলোনা), রড্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), থিয়াগো আলক্যানতারা (লিভারপুল), কোকে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ফাবিয়ান রুইজ (নাপোলি), পেদ্রি (বার্সেলোনা)।
আক্রমণ: জেরার্ড মোরেনো (ভিযারিয়াল), আলভারো মোরাতা (জুভেন্টাস), ফেরান টরেস (ম্যানচেস্টার সিটি), মিকেল ওয়ার্যাবাল (রিয়াল সোসিয়েদাদ), আদামা ট্রাওরে (উলভারহ্যাম্পটন), দানি ওলমো (আর বি লিপজীগ), পাবলো সারাবিয়া (পি এস জি)।
গোলরক্ষনে দা হেয়ার থাকার সম্ভাবনাই সব থেকে বেশি, তবে উনাই সিমনও বেশ ভালোই ফর্মে আছেন। রক্ষণে নতুন সংযোজন আয়মারিক লাপোর্তে, যিনি জন্মগত ফ্রান্সের নিবাসী কিন্তু ফ্রান্সের জাতীয় দলে বার বার উপেক্ষিত হওয়ায় তিনি এই মাসে স্পেনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং স্পেনের হয়ে ইউরো খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে লাপোর্তের মতো অভিজ্ঞ সেন্টার ব্যাক আসলেও স্পেন যে সের্খিও রামোসের অভাব টের পাবে সেটা বলাই বাহুল্য। সবে মাত্র চোট থেকে ফিরে আসলেও এই বছর সেভাবে মাঠে নামেননি রামোস, তাই এনরিকে তাকে দলে রাখার ভরসা পাননি। এ ছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদের নাচো ফার্নান্দেজ, মার্কো এসেনসিও দের দলে না থাকাটা খানিকটা পিছিয়ে দিতে পারে লা রোজাসদের।
শক্তি এবং দুর্বলতা
শক্তি: বরাবরের মতো স্পেনের প্রধান শক্তি তাদের মাঝমাঠ, এমনকি আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রাও মাঝমাঠে খেলতে সক্ষম, উদাহরণস্বরুপ দানি ওলমো, মিকেল ওয়ার্যাবাল এবং ফেরান টরেস। ব্লকার হিসেবে বুস্কেত্স, রদ্রিদের মতো খেলোয়াড়রা থাকায় থিয়াগো, কোকেরা নিজেদের সাধারণ খেলাটা মেলে ধরতে পারবেন। স্পেনের মাঝমাঠে এতটাই কোয়ালিটি ভর্তি যে ফাবিয়ান রুইজের মতো “বল প্লেয়ার”-কেও হয়তো বেঞ্চে বসে থাকতে হতে পারে।
দুর্বলতা: ডিফেন্স। ডিফেন্সে “ডেপ্থ” বলতে কিছুই নেই এই দলটির, প্রধানত রাইট ব্যাকে আজপিলিকুয়েটা ছাড়া আর কেউ “সাধারণ অপশন” নয়। লোরেন্টে কিছুটা খেলে দিলেও কিন্তু প্রতিপক্ষ এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে মাত দিতে পারে। লাপোর্তে স্পেনের হয়ে প্রথমবার খেলতে নামবেন, সাথে সম্ভবত পাউ টরেস থাকবেন। তবে বেঞ্চে যেই এরিক গার্সিয়া থাকবে সে ২০২০-২১ মরসুমে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলেছেন, সর্বমোট ৯০০ মিনিটও খেলেননি। তবে লেফট ব্যাক অঞ্চলটি বেশ শক্তপোক্ত, যেখানে হয় আলবা খেলবেন না হয় গায়া।
স্পেনের গ্রুপপর্বের ম্যাচ
১৫ জুন: বনাম সুইডেন রাত ১২.৩০ থেকে*
২০ জুন: বনাম পোল্যান্ড রাত ১২.৩০ থেকে*
২৩ জুন: বনাম স্লোভাকিয়া রাত ৯.৩০ থেকে*
*ভারতীয় সময় অনুসারে (IST)