ভারতে এসে লাল হলুদ জার্সি গায়ে অভিষেকেই মাতিয়ে দিয়েছেন ব্রাইট এনোবাখারে। ওড়িশা ম্যাচে মাঠে নেমেই তাঁর স্কিলের ঝলক সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। তবে ব্রাইটের পায়ের জাদু টের পাওয়া যায় এফসি গোয়া ম্যাচে। মাঝমাঠ থেকে একাই যেভাবে বল টেনে নিয়ে গিয়ে চারজন ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে কাটিয়ে গোয়ার জালে বল জড়ালেন, তাতে আপামর ইস্টবেঙ্গল জনতা মোহিত।
স্বভাবতই সমর্থকদের মধ্য থেকে দাবি উঠেছে ব্রাইটকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলে রেখে দেওয়ার। ইতিমধ্যেই গুজব ছড়িয়েছে ব্রাইটকে পরের মরশুমে পেতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। দলবদলের সম্ভাবনা থাকলে চুপ করে বসে থাকবে না অন্য দলগুলোও।
কিন্তু এইসব গুজবকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। কারণ ব্রাইটের সঙ্গে খসড়া চুক্তি অনুযায়ী ভারতে খেললে আগামী তিন বছর ইস্টবেঙ্গলেই খেলতে হবে তাঁকে।
কিন্তু বাধ সেধেছে অন্য জায়গায়। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের যে এখনও চূড়ান্ত চুক্তিপত্র সই হয়নি, একথা সবারই জানা। এই অবস্থায় কোনো প্লেয়ারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করার অর্থ ক্লাব এবং কোম্পানি – দুতরফের জন্যই সমস্যা বাড়ানো। পূর্বতন ইনভেস্টর কোয়েসের ক্ষেত্রেও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় দুপক্ষকে। ক্লাব এবং কোয়েসের বিচ্ছেদের সময় বেশ কয়েক বছরের চুক্তি করা প্লেয়ারদের দায়িত্ব কারা নেবে, সেই নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। কোলাডোরা যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছিলো ক্লাব এবং কোয়েস – দুপক্ষকেই।
সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই মেপে পা ফেলতে চাইছেন শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। আইনি জটিলতায় যেতে চান না তাঁরা। ক্লাবকর্তারাও নিশ্চয়ই চাইবেন না আবার কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়কার সমস্যাগুলোর পুনরাবৃত্তি। কারণ, কোয়েসপর্ব থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, চুক্তির গেরোয় আটকে গেলে খেলোয়াড়দের দায়ভার পড়ার সম্ভাবনা ক্লাবের উপরেই।
ক্লাবে আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্লাবকর্তারা শ্রী সিমেন্টের সাথে বসে দ্রুত ফাইনাল টার্মশিটের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছোতে পারেন কিনা, সেটাই এখন দেখার। যদি একান্তই দুপক্ষের মতের মিল না হয়, সেক্ষেত্রে এই মরশুমের পর ঠিক কোন দিকে এগোবে ইস্টবেঙ্গলের আর্থিক ভবিষ্যৎ, সেই রূপরেখাও তৈরি রাখতে হবে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের।