গতকাল রাতটা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য ছিল আনন্দের। ভারতীয় ফুটবলের মঞ্চে বিগত ৬-৭ বছর ধরে শুরু হওয়া ইস্টবেঙ্গল বনাম বেঙ্গালুরু দৈরথ আইএসএলের দৌলতে আবার নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ এসেছিলো। আর সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসে এসসি ইস্টবেঙ্গলই। ম্যাচের ২০ মিনিটে জার্মান মিডফিল্ডার ম্যাত্তি স্টেইনম্যানের করা একমাত্র গোলে বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে পরাস্ত করে আড়াই বছর আগে সুপার কাপে পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু জয়ের আনন্দের মাঝেই লাল হলুদ সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ম্যাত্তি স্টেইনম্যানের চোট পেয়ে উঠে যাওয়া উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে সমর্থকদের।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের ৭৭ মিনিটে। দুরন্ত ছন্দে তখন এসসি ইস্টবেঙ্গল। এরই মধ্যে হঠাৎ দেখা যায় বুকে হাত দিয়ে হাঁফাচ্ছেন ম্যাত্তি স্টেইনম্যান। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরু ডিফেন্সের ভুলে বক্সের ঠিক সামনে থেকে শট মারার সুযোগ পেয়ে যান ব্রাইট এনোবাখারে। তাঁর শট দুরন্ত দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। এরপরেই খেলা থামিয়ে দেন রেফারি। মাঠের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল টিমের ডাক্তার ও ফিজিওকে স্টেইনম্যানের শুশ্রূষা করতে দেখা যায়। টিভি রিপ্লেতে বোঝা যায়, কোনওভাবে মাথার পিছনে, পাঁজরে এবং পিঠে চোট পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই জার্মান তারকা। কোনওরকম ঝুঁকি নেননি রবি ফাউলারের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে কোচের দায়িত্ব সামলানো সহকারী কোচ টনি গ্র্যান্ট। আশি মিনিটের মাথায় তড়িঘড়ি স্টেইনম্যানকে তুলে নামিয়ে দেন এরোন আমাদি হলোওয়েকে। রাতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় জার্মান মিডফিল্ডারকে।
তবে এসসি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য স্বস্তির খবর, সকালে লাল-হলুদ শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল ম্যাত্তি স্টেইনম্যানের চোট খুব একটা গুরুতর নয়। দু-একদিন বিশ্রামেই সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ১৫ই জানুয়ারী। হাতে এখনও পাঁচদিন সময়। তাই চিন্তার কোনও ব্যাপার নেই। তবে রবি ফাউলারের পক্ষে আরও সুবিধা, এরমধ্যে ফিট হয়ে যাবেন অ্যান্টনি পিলকিংটনও। অর্থাৎ কোচের হাতে অপশন বাড়বে। এমনিতেই ১৫-২২শে জানুয়ারীর মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে রবি ফাউলারের দলকে। তাই একান্তই যদি স্টেইনম্যান কোনওরকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তখন পিলকিংটন চলে আসবেন প্রথম একাদশে।
সব মিলিয়ে চোট আঘাতের চিন্তার রেশ কাটিয়ে ফুরুফুরে মেজাজেই টিম ইস্টবেঙ্গল।